৯৯৯ এ ফোন করে র্যাবের সহায়তায় উদ্ধার হন তারা।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে দফায় দফায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। পরে ৯৯৯ এ ফোন করে র্যাবের সহায়তায় উদ্ধার হন তারা।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষিতা ওই গৃহবধূ জানান, স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের রিসোর্ট থেকে তাদের উদ্ধার করে র্যাব।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
জানা গেছে, বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে এসে শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন। বিকালে যান সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে ওই নারীর ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে প্রথম দফায় তাকে ধর্ষণ করে ওই দুর্বৃত্তরা।
এরপর তাকে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে নিয়ে আরেক দফা ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ধর্ষকরা।
পরে ওই নারী জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ কল করেন। পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়। পরে র্যাব এসে তাকে উদ্ধার করে। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে।
বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে আছেন এবং দ্রুত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে কক্সবাজারে আগত ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।